রিয়াল মাদ্রিদের শান্ত রাজত্বে কি তবে ফাটল ধরছে? কিলিয়ান এমবাপের আগমন নিয়ে অনেক আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, এবার সেই গুঞ্জন যেন বাস্তব সংকটে রূপ নিচ্ছে। পিএসজিতে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রভাব খাটানো—এসব অভিযোগ আগে থেকেই ছিল এমবাপের বিরুদ্ধে। এবার রিয়াল মাদ্রিদে এসেও যেন একই গল্প শুরু হচ্ছে। আর সেই গল্পের শিকার হতে পারেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো গোজ।
সান্তোস থেকে এসে রিয়ালে নিজের আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছিলেন রদ্রিগো। কিন্তু এমবাপে যোগ দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। স্পটলাইটে এখন ভিনিসিয়ুস, এমবাপে ও জ্যুড বেলিংহাম। তার জায়গা যেন একটু একটু করে সরে যাচ্ছে ব্যাকফুটে। শুধু তাই নয়, তরুণ মিডফিল্ডার আর্দা গুলের পারফরম্যান্সও চোখে পড়ছে ক্লাবের। সব মিলিয়ে রদ্রিগোর জন্য এটা আর খুব স্বস্তিকর পরিবেশ নয়।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলোর দাবি—রদ্রিগো এখন নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। চলতি গ্রীষ্মে নতুন ঠিকানা খোঁজার চিন্তাও করছেন তিনি। যদিও এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে চান না। সম্ভাব্য নতুন কোচ জাবি আলোনসোর সঙ্গে আলোচনার পর বুঝতে চান, তার জন্য ক্লাবের পরিকল্পনা কী। যদি নিজের জায়গা আরও সংকুচিত হয়ে আসে, তাহলে হয়তো এবার বিদায় বলবেন সান্তিয়াগো বার্নাবেউকে।
রদ্রিগোর সম্ভাব্য গন্তব্য? আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটি—এই দুই ইংলিশ ক্লাবের নামই ঘুরছে জোরালোভাবে। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির বিপক্ষে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এখনো মনে রেখেছেন গার্দিওলা। আর আর্সেনালের কথা বলতে গেলে, জাতীয় দলের দুই সতীর্থ মার্টিনেলি ও গ্যাব্রিয়েল হেসুস আছেন ইতিমধ্যে। ফলে গানার শিবিরেও রদ্রিগো সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন।
তবে তার দামও কম নয়। রিলিজ ক্লজ ১০০ মিলিয়ন ইউরো হলেও, অন্তত ৮৫ মিলিয়নের প্রস্তাব পেলেই রিয়াল তাকে ছাড়তে পারে। কারণ, দলবদলের এই মৌসুমে নতুন তারকাদের দলে নিতে চায় রিয়াল। আর সেটার ফান্ড জোগাড়ে রদ্রিগোর বিক্রি বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে।
সবকিছু এখন নির্ভর করছে নতুন কোচ আর ক্লাবের পরিকল্পনার ওপর। তবে একটা কথা নিশ্চিত—এই গ্রীষ্মে ট্রান্সফার মার্কেটের হট টপিক হয়ে থাকবেন রদ্রিগো গোজ।